Image

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতির পর খামেনির প্রথম বার্তা, বিজয়ের ঘোষণা

Image

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ৫:০৫ বিকাল

1
Shares

Image

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর প্রথম বার্তা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। এ বার্তায় তিনি বিজয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানে হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জায়নবাদীদের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ভ্রান্ত ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য অভিনন্দন। ইসরায়েলকে উদ্দেশ্য করেই তিনি এমন বার্তা দিয়েছেন। আলজাজিরা জানিয়েছে, তিনি শিগগিরই জাতির উদ্দেশ্যে ভিডিও বার্তা দেবেন। এর আগে সংবাদমাধ্যম জানায়, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তেহরানে তার নিয়মিত বাসভবনে অবস্থান না করে নিরাপদ বাংকারে অবস্থান করছেন। তবে যুদ্ধবিরতির পর থেকে তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বিবিসি জানিয়েছে, দীর্ঘ এ যুদ্ধে দেশটির পরিবেশ অনেকটাই বদলে গেছে। ফলে প্রকাশ্যে এসেই দেশের পরিস্থিতি দেখে বড় ধাক্কা খাবেন খামেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খামেনি যখন প্রকাশ্যে আসবেন, তিনি একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন দেশ দেখতে পাবেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত, ক্ষতবিক্ষত এবং গভীরভাবে ক্ষুব্ধ এক ইরান দেখবেন। ৮৬ বছর বয়সী খামেনি যুদ্ধের সময় প্রাণনাশের ভয়ে গোপন বাঙ্কারে আশ্রয় নেন। সেখানে সকল ধরনের ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন তিনি। এমনকি শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কাতারের আমিরের মধ্যস্থতায় ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু খামেনিকে হত্যার সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করেননি। যখন তিনি প্রকাশ্যে আসনে তখন মৃত্যু ও ধ্বংসের একটি দৃশ্য দেখতে পাবেন। তিনি সম্ভবত রাষ্ট্রীয় টিভিতে দাবি করবেন যে তিনি এই সংঘাতে বিজয়ী হয়েছেন। তবে, তিনি নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হবেন। যুদ্ধে ইরানের সামরিক অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অনেক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইরানের বেশিরভাগ পারমাণবিক স্থাপনাও বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির অর্থনীতি বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় ভেঙে পড়েছে। এক সময়ের প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশ এখন দরিদ্র হয়ে গেছে। অনেক ইরানি আয়াতুল্লাহ খামেনিকে ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সংঘাতের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করবেন। তারা তাকে ইসরায়েল ধ্বংসের আদর্শিক লক্ষ্য এবং পরমাণু অস্ত্র অর্জনের মাধ্যমে শাসনকে অজেয় করার বিশ্বাসের জন্য দোষারোপ করবেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং স্কলার প্রফেসর লিনা খাতিব বলেন, ইরানী শাসন আর কতদিন টিকবে তা অনুমান করা কঠিন, তবে এটি শাসনের শেষের শুরু বলে মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, খামেনি সম্ভবত ইসলামী প্রজাতন্ত্রের শেষ ‘সর্বোচ্চ নেতা’ হবেন।

সুত্র: আরটিভি

বাংলাদেশ
আরটিভি
জাতীয়
রাজনীতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
সারজিস আলম
ডিজিটাল প্রযুক্তি
শ্লীলতাহানি
আওয়ামী লীগ
সমন্বয়ক
শীর্ষ খবর
Image

আরো খবর

ImageImage