শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫, বিকাল ৭:৩২ সময়
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ৫:০১ বিকাল
ইসরায়েলি দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতা আর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও আবদুল কাদির খানের নেতৃত্বে ১৯৭০-৮০-এর দশকে ইসলামাবাদে পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য একটি সাহসী অভিযান শুরু হয়। বহু হুমকি আর প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সফলভাবে পারমাণবিক বোমা তৈরি করে ফেলে পাকিস্তান। তবে, পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা তৈরির কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য ছিল ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের কাছে। পাকিস্তানকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হিসেবে ব্যর্থ করতে যোগ দিয়েছিল ভারতও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাদির খান কিংবা পাকিস্তানকে ব্যর্থ করতে পারেনি তারা। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর সাবেক পরিচালক জর্জ টেনেট আবদুল কাদির খানকে "ওসামা বিন লাদেনের মতো বিপজ্জনক" বলে মনে করেছিলেন এবং প্রাক্তন মোসাদ প্রধান শাবতাই শাবিত তাকে হত্যা না করার জন্য অনুতপ্ত ছিলেন। কিন্তু প্রায় ২৫ কোটি পাকিস্তানির কাছে, দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির নায়ক আবদুল কাদির খান একজন কিংবদন্তি এবং জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণকারী এবং ২০২১ সালে ৮৫ বছর বয়সে মারা যাওয়া এই পারমাণবিক বিজ্ঞানী দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য অন্য যে কারোর চেয়ে বেশি অবদান রেখেছিলেন। তিনি ইরান, লিবিয়া এবং উত্তর কোরিয়াকে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা করে একটি অত্যাধুনিক এবং গোপন আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কও পরিচালনা করতেন। এই দেশগুলোর মধ্যে উত্তর কোরিয়া শেষ পর্যন্ত লোভনীয় সামরিক মর্যাদার প্রতীক অর্জন করতে পেরেছে। পাকিস্তানের এই অর্জন কোনোভাবেই সহ্য করতে পারেনি ইসরায়েল। অভিযোগ রয়েছে, পাকিস্তানকে পারমাণবিক শক্তি অর্জন থেকে বিরত রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার চেষ্টা করেছিল দখলদার দেশটি।