Image

আন্তর্জাতিক

জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ইসরায়েলি বোমা হামলা, গাজাজুড়ে ১ দিনে নিহত ৯৫

Image

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১ জুলাই ২০২৫, ৯:৫৮ সকাল

1
Shares

Image

গাজায় থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই সেই মিছিলে বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। গতকাল সোমবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে আরও প্রায় এক শ ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ইসরায়েলের হামলায় গাজাজুড়ে নিহত হয়েছে অন্তত ৯৫ জন। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, ক্যাফে, স্কুলের মতো বেসামরিক স্থাপনাগুলোয় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। হামলা চালিয়েছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোত, যা আইডিএফ নিয়মিতই করছে। নিহতদের মধ্যে ৬২ জনই গাজা সিটি এবং উত্তর গাজার বাসিন্দা। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গাজা সিটির উত্তরাংশে সমুদ্রের কাছে অবস্থিত আল-বাকা নামক একটি ক্যাফেতে হামলা চালিয়ে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক গণমাধ্যমকর্মীও। নিহত ওই গণমাধ্যমকর্মীর নাম ইসমাইল আবু হাতাব। ওই হামলায় নিহত হয়েছে তার স্ত্রী ও সন্তানও।এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ক্যাফেটিতে মূলত এক শিশুর জন্মদিনের আয়োজন চলছিল। যেকারণে সেখানে অনেক ভিড় ছিল। হঠাৎ ইসরায়েলি বোমা এসে উড়িয়ে দেয় সবকিছু। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এখানে তো কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক কার্যকলাপ চলছিল না। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে সেসবের কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলে কেন এখানে হামলা চালানো হলো?’স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে ক্যাফেটি। গাজা শহর থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ক্যাফেটিতে এই হামলা চালানো হয়। তার তথ্যমতে, বিস্ফোরণে অনেকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের তীব্রতা এত ভয়াবহ ছিল যে মানুষের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রক্তের দাগ। মৃতদেহ এবং মাংসের টুকরো সরিয়েছে উদ্ধারকর্মীরা।’ গতকাল ওই ক্যাফে ছাড়াও গাজা শহরের ইয়াফা স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন শত শত বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ—এক ঘোষণায় ওই স্কুলটি ছাড়তে মাত্র ৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল তাদের। কোনোমতে জীবন নিয়ে পালিয়েছেন তারা। হামলা হয়েছে আল-আকসা হাসপাতাল প্রাঙ্গণেও। হামলার স্থান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজ্জুম জানান, ভয়াবহ বিস্ফোরণে আগে ন্যূনতম কোনো সতর্কতা জারি করেনি ইসরায়েলি বাহিনী। তিনি বলেন, ‘হামলার স্থানটি আমাদের সম্প্রচারের পয়েন্ট থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ১০ বার আল-আকসায় সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।’

সুত্র: আরটিভি

বাংলাদেশ
আরটিভি
জাতীয়
রাজনীতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
সারজিস আলম
ডিজিটাল প্রযুক্তি
শ্লীলতাহানি
আওয়ামী লীগ
সমন্বয়ক
শীর্ষ খবর
Image

আরো খবর

ImageImage