শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, রাত ৩:০৩ সময়
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৭ জুলাই ২০২৫, ৩:২৮ দুপুর
ইরানে হামলার জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় না আনা হলে পুরো অঞ্চল এবং তার বাইরেও এর পরিণাম ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। খবর আল জাজিরা [https://www.aljazeera.com/news/2025/7/6/iran-demands-accountability-for-israel-and-us-after-war-of-aggression] আরাগচি বলেন, ‘আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২২৩১-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। ২০১৫ সালে ওই প্রস্তাবে সর্বসম্মতভাবে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।’ গত মাসে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হঠাৎ হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে পাল্টা হামলা চালায় তেহরানও। তবে এই হামলার মধ্যে ঢুকে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে দেশটি ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। আরাগচি বলেন, ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র পরে যে হামলা চালায় তাতে ইসরায়েলের ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী যুদ্ধে মার্কিন সরকারের সম্পূর্ণ জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকে না। রোববার ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে ইরানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। ১১টি দেশের এই জোট বলেছে, এসব হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে সম্মেলন থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতারা বলেছেন, ‘আমরা ১৩ জুন থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে চালানো সামরিক হামলার নিন্দা জানাই। আমরা বেসামরিক অবকাঠামো ও শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ইচ্ছাকৃত হামলার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’ ব্রিকস থেকে দেওয়া এই বিবৃতিকে তেহরানের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের ওই সংঘাতে ইরানে অন্তত ৯৩৫ জন নিহত ও ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ইরানের হামলায় ইসরায়েল ২৯ জন নিহত ও ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ আহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গত ২৪ জুন থেকে দুই দেশ এখন একটি যুদ্ধবিরতিতে রয়েছে।