শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, রাত ৩:৩৭ সময়
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১২:২৬ দুপুর
ভুল নেতৃত্বের কারনে হাতিয়া নোয়াখালীর মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তর দিক থেকে ভেঙে ক্রমান্বয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে! ১৯৪৫-২০২৫ সাল অর্থাৎ ৭০ বছর ম্যাপ পর্যালোচনা করলে দেখা হাতিয়া মানচিত্র ভেঙে চুরে চুরমার হয়ে গেছে! মূল ক্ষতি ১৯৫৬-১৯৬৪ এই দশকে হয়েছিল! এমন তছনছ শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী দ্বীপে নয়, বিশ্বে খুঁজেও পাবে না! কারন হল রাজনীতির নামে গুন্ডামী! অথচ রাজনীতি মানে নলেজের মাধ্যমে কোন জনপদের ভাগ্য বদল করা! রাজনীতিতে গুন্ডামী থাকবে কিন্তু নলেজেবল নেতৃত্ব বাদ দিয়ে শুধু গুন্ডামী করাকে নেতাগিরি বলেনা! প্রকৃতি কখনো শূন্য থাকেনা, নেতৃত্বের শূন্যতা আমাদেরকে প্রকৃতি চরমভাবে শাসন করে চলেছে! হাতিয়াকে উত্তর দিক থেকে ভেঙে এবং পূর্ব দিকে থেকে ঠেলতে ঠেলতে ক্রমান্বয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মুখী মনপুরার সাথে সংযুক্ত করছে! হয়ত এক দশকের পর আমরা মনপুরার সাথে সংযুক্ত হয়ে যাব! মানচিত্রের এত বদল আর কোথায় হয়েছে? রাজনৈতিক শূন্যতা আমাদেরকে চরম অসহায় করে তুলছে! ১৯৫৬ সালে নোয়াখালী সাথে রামগতির ১০ কিমি. ক্রসড্যাম, ১৯৬৪ সালে মান্নান নগরের ৩০ কি. মি. ক্রসড্যামের ফলে হাতিয়া ভেঙে বিরান ভূমিতে পরিনত হয়। তখনকার মাইজদী দক্ষিণে মেঘনা নদী ছিল। ক্রসড্যামের ফলে তা দক্ষিণে ৭০ কিমি. চর উঠে এবং মেঘনা নদী সিফট হয়ে আজকের চেয়ারম্যান ঘাট বরাবরে আসে! ১৯৪৫ সালের ম্যাপ দেখেন লক্ষ্মীপুরের সাথে সামান্য একটা প্রনালী ছিল। রামগতির ক্রসড্যামের সাথে হাতিয়ার বাঁধ দিলে হাতিয়া নোয়াখালীর মূল ভূখন্ডের সাথে সংযুক্ত হতো! কিংবা ১৯৬৪ সালেও নোয়াখালীর সাথে বাঁধ দিলেও হাতিয়া নোয়াখালীর সাথে সংযুক্ত হতো! তখন দু হাতিয়ার মাঝখানে নদী তথা তটরেখা হতো না! মেঘনা নদী থাকত নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণে! তখন নোয়াখালীর মূল ভূখন্ড ১০০ কি. মি. দক্ষিণে স্থানান্তরিত হতো! নদী পারাপার নামে সীট্রাক, নৌকা, স্পীড বোর্ট এবং ঘাট কেন্দ্রিক নোংরা রাজনীতি থাকত না! আমরা যখন তখন দেশের সব প্রান্তে যাতায়াত করতে পারতাম। এখনি সময় নেতৃত্বের নামে গুন্ডামী বন্ধ করে মাস্টার প্ল্যান করে সকলে মিলে ধারাবাহিকভাবে হাতিয়া এগুয়ে নিয়ে যাওয়া নলেজের ভিত্তিতে! আমরা আগামীর নির্বাচনে নলেজ ভিত্তিক নেতৃত্ব ও মাস্টারপ্ল্যান ভিত্তিক রাজনীতি দেখতে চাই!