শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, রাত ৩:৫০ সময়
আবুল হাসান, গাজীপুর
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ৯:৫২ সকাল
ছোট্ট মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় গাজীপুরের বাসিন্দা শাহ আলম। সোমবার ভোরে অফিসের কাজে বরিশাল যাওয়ার সময় সায়মা ছিল ঘুমিয়ে। দুপুরের দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এসে খুঁজতে থাকেন মেয়েকে। পরে রাতে সিএমএইচ হাসপাতালের মর্গে খুঁজে পান আদরের সন্তানের দগ্ধ মরদেহ। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যায় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়মা। গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুরের বিপ্রবর্থা এলাকায় বেলা ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সোমবার রাতে হাসপাতালে বোনের মরদেহ শনাক্ত করে সম্প্রতি ওই স্কুল থেকেই এএসসি পাস করা শাহ আলমের ছেলে সাব্বির। শাহ আলমের দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে সায়মা ছিল ছোট। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে রাজধানীর উত্তরায় থাকতেন শাহ আলম। শোকার্ত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘রোববার রাতেও মেয়ে আমার বুকে উঠে চুমু খেয়েছে। সোমবার সকালে ওকে ঘুমের মধ্যে রেখেই অফিসের কাজে বরিশাল যাই। দুর্ঘটনার খবর শুনে জানতে পারি আমার মেয়েকেও পাওয়া যাচ্ছে না। ফিরে এসে দিনভর মেয়েকে খুঁজেছি, পরে রাতে পেলাম আমার চোখের মণির নিথর দেহ!’ মরদেহ সকালে এলাকায় পৌঁছালে স্বজনরাসহ এলাকাবাসীর ঢল নেমে আসে। স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশ ভারি হয়ে ওঠে। শোকস্তব্ধ পরিবারটিকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও যেন খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ। তবে এ প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। সেইসঙ্গে পুরোনো বিমান দিয়ে যেন আর কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া না হয়—এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তারা।