Image

বিনোদন

পর্দার জনপ্রিয় মা ও সন্তানদের গল্প

Image

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ: ৮ মে ২০২৫, ১২:২৪ দুপুর

1
Shares

Image

প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস। এ বছর মা দিবস ১১ মে। পর্দায় এই সময়ে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বেশ কয়েকজন—মনিরা মিঠু, সাবেরী আলম, শিল্পী সরকার অপু, চিত্রলেখা গুহ, মিলি বাশার প্রমুখ। এই মায়েরা বলেছেন তাঁদের পর্দার প্রিয় সন্তানদের নিয়ে। আর সন্তানরা বলেছেন পর্দার তাঁদের প্রিয় মাকে নিয়ে। শুনেছেন হৃদয় সাহা। বয়সে বড় অভিনেতার মা-ও হয়েছি || মনিরা মিঠু দীর্ঘ অভিনয়জীবনে মায়ের চরিত্রই বেশি করেছি। ক্যারিয়ারের শুরুতে যখন আমার বয়স অনেক কম, তখনই মায়ের চরিত্র করেছি। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের ‘মায়াবতী’ নাটকে প্রথম মা হই মাহফুজ আহমেদের। এরপর ‘বৃক্ষমানব’, ‘চন্দ্রকথা’সহ বেশ কয়েকটি নাটকে স্যার আমাকে মায়ের চরিত্র দেন। পরে যখন ছবিয়ালের সঙ্গে কাজ শুরু করলাম, ‘স্পার্টাকাস ৭১’, ‘হাউজফুল’, ‘আমাদের গল্প’ নাটকগুলোতে মায়ের চরিত্র করে আমি অভূতপূর্ব সাড়া পাই। দেখা গেল, আমার চেয়ে বয়সে বড় অভিনেতারও মা হয়েছি। জাহিদ হাসান ভাই আমার চেয়ে বয়সে বড়, উনারও মা হয়েছি। বেশ কিছু নাটকে মোশাররফ করিমের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছি। পরিচালকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ, তখনই আমার ওপর তাঁরা আস্থা রেখেছিলেন। কয়েক বছর আগ পর্যন্ত নিয়মিত আফরান নিশোর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে গেছি। এখন নিলয় আলমগীর, মুশফিক ফারহান, তৌসিফ মাহবুব, হিমি, তটিনী—সবার মা হচ্ছি। যখন যার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করি তার সঙ্গেই আমার মা-সন্তানের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুটিংয়েই সবার সঙ্গে দেখা হয়, সেখানেই খোঁজ-খবর নেয় তারা। তবে আমরা যারা এখন নাটকে মায়ের চরিত্র করি, তাদের মধ্যে ভালো যোগাযোগ আছে। আমরা একসঙ্গে ঘুরতে যাই, দেখা করি। এটা বেশ ভালো লাগে আমার।  পর্দায় ইয়াশের মা হতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না || শিল্পী সরকার অপু পর্দার প্রিয় সন্তান কে? এটা বলা আমার জন্য বেশ কঠিন। কারণ আমি এত এত মায়ের চরিত্র করেছি, সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তবে সাম্প্রতিক বিবেচনায় আমি মুশফিক ফারহানের কথা বলব। সে যখন আমার ছেলের চরিত্র করে, মনে হয় যেন সে আমার সত্যিকারের ছেলে। আমার বিশ্বাস, দর্শকও সেটা মেনে নেবে। পর্দায় আমাদের মা-ছেলের অন্য রকম রসায়ন ফুটে ওঠে। পর্দার বাইরেও সে খুবই দায়িত্ববান। ওর সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। এ ছাড়া পর্দার সব সন্তানই আমার খোঁজ-খবর নেয়। আরেকটি ভালো দিক হলো, মায়ের চরিত্র এখন খুব গুরুত্ব পাচ্ছে, দৃশ্য কম-বেশি যা-ই থাকুক গল্পে খুব প্রভাব ফেলে। নাটকে আমার সন্তান ইয়াশ রোহানের মা-ও হয়েছি বেশ কয়েকবার। তবে আমি পর্দায় ওর মা হতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না, আমার মনে হয় ইয়াশও করে না। বাস্তবেই আমরা মা-সন্তান বেশ ভালো আছি। মায়ের মমতা সব সন্তানের জন্য সমান || সাবেরী আলম দীর্ঘ অভিনয়জীবনে মায়ের চরিত্রই বেশি করেছি, সেই সুবাদে পর্দায় আমার অগণিত সন্তান। কারো সঙ্গে হয়তো বেশি কাজ করেছি, কারো সঙ্গে কম। তবে মায়ের মমতা সবার জন্য সমান। এটা ঠিক, একই অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে যদি টানা কাজ হতে থাকে, তখন তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যেটা অভিনয়ের জন্য ভালো। এই যেমন অপূর্বর সঙ্গে আমার মা-ছেলের আলাদা একটা বন্ধন রয়েছে। একসময় বহু নাটকে অপূর্বর মায়ের চরিত্র করেছি। যেটার প্রভাব পড়েছে বাস্তবজীবনেও। পর্দার বাইরেও আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক। এখন যেমন আবার নিলয় আলমগীরের মায়ের চরিত্র করছি বেশি। ফলে তার সঙ্গেও মমতাময় একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। নিলয় ছেলে হিসেবেও খুব ভালো, খুবই আন্তরিক। বেশ কিছু নাটকে জোভান ও খায়রুল বাসারের মা হয়েছি, সেখানে মা-ছেলের রসায়ন বেশ প্রশংসিত হয়েছে। ফারহান, আরশদের সঙ্গে কম কাজ হয়। তবে তাদের সঙ্গেও কাজ করতে ভালো লেগেছে। বাস্তবজীবনে আমার দুই ছেলে। কোনো মেয়েসন্তান নেই। নাটকে যারা আমার মেয়ে হয়, তাদের প্রতি আলাদা টান অনুভব করি। এর মধ্যে জাকিয়া বারী মম, সাবিলা নূর, তটিনী, তাসনুভা তিশাসহ সবাই আছে। প্রতিদিন শুটিংয়ে আমাদের সবার এত দেখা হয় যে এর বাইরে আলাদা করে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হয় না।

সুত্র: আরটিভি

বাংলাদেশ
আরটিভি
জাতীয়
রাজনীতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
সারজিস আলম
ডিজিটাল প্রযুক্তি
শ্লীলতাহানি
আওয়ামী লীগ
সমন্বয়ক
শীর্ষ খবর
Image

আরো খবর

ImageImage