শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫, রাত ১১:২৪ সময়
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১ জুলাই ২০২৫, ১১:১২ দুপুর
ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো এবার দাপট দেখিয়ে চলছে। প্রায় ম্যাচেই দেখা যাচ্ছে তাদের চমক। নকআউট পর্বে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ক্লাবের জাদুতে এবার বিদায়ঘণ্টা বাজল ইন্টার মিলানের। ২০২৪-২৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের রানার্সআপরা এবার উঠতে পারল না ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টারেও। শার্লটের ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে গত রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ফ্লুমিনেন্স-ইন্টার মিলান। এই ম্যাচে ইন্টার মিলান একের পর এক সুযোগ তৈরি করলেও দিনশেষে তারা পরাজিতই হয়ে রইল। ২-০ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স। পালমেইরাসের পর দ্বিতীয় ব্রাজিলিয়ান ক্লাব হিসেবে শেষ আটের টিকিট কাটল ফ্লুমিনেন্স। ফ্লুমিনেন্সের চেয়ে ইন্টার মিলান বেশ দাপট দেখিয়ে খেলেছে। ৬৯ শতাংশ বল দখলে রেখে ইন্টার প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর নেয় ৪ শট। অন্যদিকে ফ্লুমিনেন্সের পায়ে বল থাকে ৩১ শতাংশ। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি চার শট করে প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর। যার মধ্যে দুটি থেকে তারা গোল আদায় করে নেয়। ইন্টারের আক্রমণ কতটা দক্ষতার সঙ্গে ফ্লুমিনেন্স প্রতিহত করেছে, সেটা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট।ম্যাচের ৩ মিনিটে ফরোয়ার্ড হারমান ক্যানো দারুণ এক হেডে এগিয়ে দেন ফ্লুমিনেন্সকে। দ্রুত গোল হজম করলেও পাল্টা আক্রমণ করে ইন্টার মিলান। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি। ফ্লুমিনেন্স প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারত। তবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) মাধ্যমে দেখে ডিফেন্ডার ইগনাসিও দা সিলভা অলিভিয়েইরার গোল বাতিল করা হয়। প্রথমার্ধ ফ্লুমিনেন্স শেষ করে ১-০ গোলে। বিরতির পরও ফ্লুমিনেন্স-ইন্টার মিলানের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের খেলা চলতে থাকে। ইন্টারের আক্রমণের জবাব ফ্লুমিনেন্স দিতে থাকে দারুণভাবে। ৮০ ও ৮২ মিনিটে দুইবার লাওতারো মার্তিনেজ ইন্টারকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ পান। তবে ফ্লুমিনেন্স গোলরক্ষক ফ্যাবিও নিশ্চিত গোল প্রতিহত করেছেন। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় ফ্লুমিনেন্স। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ২ মিনিটে ফ্লুমিনেন্স মিডফিল্ডার হারকিউলিস বা পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন। তিনি ৬০ মিনিটে ম্যাথিউস মার্তিনেল্লির বদলি হিসেবে নামেন। ফ্লুমিনেন্স-ইন্টার মিলান ম্যাচে শারীরিক শক্তি প্রদর্শনের খেলাও হয়েছে। ১৫ ও ১৬ বার ফাউল করেছে ইন্টার মিলান ও ফ্লুমিনেন্স। ছয়বার রেফারিকে হলুদ কার্ড বের করতে হয়েছে। যার মধ্যে চারটি দেখেছে ব্রাজিলের ক্লাব। অপর দুই হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে ইন্টারকে।