শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫, রাত ১১:৫৩ সময়
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৪ দুপুর
ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চল বছর দুয়েক আগে রাশিয়া ‘গণভোটের’ মাধ্যমে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে নিয়েছে, তার একটি লুহানস্ক। গণভোট হলেও রাশিয়ার কাছে এই অঞ্চলের পুরো অংশের নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তবে, সম্প্রতি অঞ্চলটিতে রুশ কর্তৃপক্ষের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অঞ্চলটির পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন রাশিয়ার হাতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মস্কোর বাহিনী লুহানস্ক অঞ্চলের পুরোটাই দখলে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন সেখানে রাশিয়ার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিওনিদ পাসেচনিক। ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়া ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অবৈধভাবে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত একটি অঞ্চলও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি।পাসেচনিকের দাবি সত্যি হয়, তাহলে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এটি হবে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের কোনো সম্পূর্ণ অঞ্চল রাশিয়ার দখলে যাওয়া। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল ওয়ানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাসেচনিক জানান, তিনি ‘দুদিন আগে’ এমন একটি প্রতিবেদন পেয়েছেন, যেখানে বলা হয়েছে, লুহানস্কের ‘শতভাগ’ এখন রাশিয়ার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং যুদ্ধপন্থী ব্লগারদের দাবি, তিন বছরের এই হামলা-অভিযানের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের একটি গ্রাম দখল করেছে রুশ বাহিনী। দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলটি দোনেৎস্কের পশ্চিমে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি রাশিয়ার সংযুক্ত করা পাঁচটি অঞ্চলের বাইরে। এ বিষয়েও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কিংবা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও কোনো নিশ্চিত মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘পুরো ইউক্রেনকে তাঁর অধীনে আনার চেষ্টা করছেন’ এবং একই সঙ্গে পুরো ইউরোপে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইয়োহান ওয়াডেফুল। গতকাল সোমবার কিয়েভ সফরের সময় তিনি এ কথা বলেন। ওয়াডেফুল আরও বলেন, পুতিনের কথিত শান্তি আলোচনার আগ্রহ আসলে ‘একটি ভান মাত্র।’ কিয়েভ এবং এর মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বানচালের অভিযোগ এনেছে। সম্প্রতি এসব প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে পড়েছে। যদিও দ্রুত শান্তি চুক্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র, তবে তাতে অগ্রগতি নেই। এ দিনই ইউক্রেন ও রাশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ দূত কিথ কেলগ বলেন, রাশিয়া সময়ক্ষেপণ চালিয়ে যেতে পারে না। কেলগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আমরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার দাবি জানাচ্ছি।’