সোমবার, ৯ জুন ২০২৫, বিকাল ৫:০৯ সময়
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ৩:৫৯ দুপুর
আফগানিস্তানে নিজের তৈরি দানবকে দিয়ে সোভিয়েতদের পরাজিত করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সোভিয়েতদের আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত করতে সফল হলেও আমেরিকার তৈরি সেই দানব, ওয়াশিংটনের ঘাড়ে দাঁত বসিয়ে দেয়। আর সেই বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে প্রায় দুই দশক আফগানিস্তানে নিজের অর্থ, অস্ত্র আর সেনার প্রাণহানি ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ফলাফল ছিল শূন্য। আফগানিস্তান থেকে শেষ পর্যন্ত নিঃশব্দে পিছু হটতে বাধ্য হয় ওয়াশিংটন। তবে সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা না নিয়েই ফের একই ভুলের পথে পা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র—এবার লক্ষ্য ইয়েমেন। তবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী আর সমরাস্ত্র নিয়েও ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের নতি স্বীকার করাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে দরিদ্র ও দুর্বল রাষ্ট্র ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের দমন করতে গত মার্চ থেকে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের ওপর হুথিদের হামলা ও চাপ বেড়ে যাওয়ায়, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয় যুক্তরাষ্ট্র। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন ঘোষণা দেন, ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের ‘শায়েস্তা’ করা হবে। এর পরপরই একের পর এক বিমান হামলা চালানো শুরু করে মার্কিনবাহিনী। তবে কৌশলগতভাবে দুর্বল ভাবা হুথি বিদ্রোহীরা পাল্টা আঘাত হানতে শুরু করলে হিমশিম খায় বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক অস্ত্র ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মার্কিনবাহিনী। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, হুথিরা অন্তত ৭টি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ভূপাতিত করেছে, যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের গর্ব হিসেবে পরিচিত এফ-৩৫ এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও প্রায় গুলি খেয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।